নদীতে দুই রঙয়ের পানি, যা বলছে কোরআন ও বিজ্ঞান

ছবি: সংগৃহীত

 

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বুড়ো গৌড়াঙ্গ নদীতে দুই রঙয়ের পানি দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সাধারণ ঘটনা হলেও সোনারচর ঘুরতে আসা কেউ কেউ একই নদীতে দুই রঙয়ের পানি দেখে বিস্মিত হচ্ছেন। এবং হয়ে উঠছেন বেশ কৌতূহলীও।

 

তবে সারা পৃথিবী জুড়েই এটি একটি খুবই সাধারণ ঘটনা। আধুনিক বিজ্ঞানে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। তবে স্থানীয় আলেম ওলামারা বলছেন, এ বিষয়ে প্রায় সাড়ে ১৪’শ বছর পূর্বে পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ- وَهُوَ الَّذِي مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَّحْجُورًا

অর্থাৎ: ‘তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, একটি সুমিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও  আরেকটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল’। (সূরা: ফুরকান, আয়াত: ৫৩)

এ সংক্রান্ত আরো কয়েকটি আয়াত

مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَا يَبْغِيَانِ فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

অর্থ: ‘তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক আড়াল, যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। অতএব (হে মানব ও জ্বীন) তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে’? (সূরা: আর রাহমান, আয়াত: ১৯-২১)

أَمَّنْ جَعَلَ الْأَرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلَالَهَا أَنْهَارًا وَجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا ۗ أَإِلَٰهٌ مَعَ اللَّهِ ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

অর্থ: ‘কে পৃথিবীকে করেছে অবাসযোগ্য এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছে নদী-নালা? আর তাতে স্থাপন করেছে সুদৃঢ় পর্বতমালা এবং দুই সাগরের মাঝখানে সৃষ্টি করেছে অন্তরায়? আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না’। (সূরা: নামল, আয়াত: ৬১)

পৃথিবীর বেশ কয়েকটি স্থানে পাশাপাশি প্রবাহিত সমুদ্র বা নদীর পানির মধ্যে স্পষ্ট ব্যবধান খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা যায়, পাশাপাশি প্রবাহিত হলেও দুই সমুদ্রের পানির রঙ ও গঠন আলাদা এবং তারা একটি অন্যটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে না। অর্থাৎ, কোনো একটা অদৃশ্য দেয়াল যেন কাজ করছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই ব্যবধান? এই ব্যবধানের অন্যতম কারণ হচ্ছে নদীর পানির ক্ষেত্রে ঘনত্বের ও সমুদ্রের পানির ক্ষেত্রে লবণাক্তটার পার্থক্য। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় হ্যালোক্লাইন (Halocline)।

সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» আওয়ামী লীগ জাতীয় সংসদকে অপবিত্র করেছে : আলাল

» কাতারের মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানি হামলা, স্যাটেলাইট চিত্রে যা দেখা গেলো

» ১১ জুলাইকে ‘প্রথম প্রতিরোধ দিবস’ ঘোষণা উপদেষ্টা আসিফের

» তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জয়পুরহাটে বিএনপি নেতা ফয়সল আলীমের গণসংযোগ  

» বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের উপকূলের বসতবাড়ি থেকে ৬ ফুট লম্বা পদ্মগোখরা উদ্ধার, এলাকায় চাঞ্চল্য

» মোরেলগঞ্জে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসি সমমান পরীক্ষায় শতভাগ ফেল

» দুর্বৃত্তদের গুলিতে যুবদল নেতা নিহত

» ট্রেনে কাটা পড়ে স্কুল শিক্ষিকা নিহত

» পরীমণির ভিডিও ভাইরাল!

» জুলাই সনদ, বিচার, নির্বাচন সব প্যাকেজ আকারে হতে হবে: হাসনাত আব্দুল্লাহ

  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
পরীক্ষামূলক প্রচার...

নদীতে দুই রঙয়ের পানি, যা বলছে কোরআন ও বিজ্ঞান

ছবি: সংগৃহীত

 

পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বুড়ো গৌড়াঙ্গ নদীতে দুই রঙয়ের পানি দেখতে পাওয়া যায়। বিষয়টি স্থানীয়দের কাছে সাধারণ ঘটনা হলেও সোনারচর ঘুরতে আসা কেউ কেউ একই নদীতে দুই রঙয়ের পানি দেখে বিস্মিত হচ্ছেন। এবং হয়ে উঠছেন বেশ কৌতূহলীও।

 

তবে সারা পৃথিবী জুড়েই এটি একটি খুবই সাধারণ ঘটনা। আধুনিক বিজ্ঞানে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আছে। তবে স্থানীয় আলেম ওলামারা বলছেন, এ বিষয়ে প্রায় সাড়ে ১৪’শ বছর পূর্বে পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট বর্ণনা করা হয়েছে।

পবিত্র কোরআনে ইরশাদ- وَهُوَ الَّذِي مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ هَذَا عَذْبٌ فُرَاتٌ وَهَذَا مِلْحٌ أُجَاجٌ وَجَعَلَ بَيْنَهُمَا بَرْزَخًا وَحِجْرًا مَّحْجُورًا

অর্থাৎ: ‘তিনিই সমান্তরালে দুই সমুদ্র প্রবাহিত করেছেন, একটি সুমিষ্ট, তৃষ্ণা নিবারক ও  আরেকটি লোনা, বিস্বাদ; উভয়ের মাঝখানে রেখেছেন একটি অন্তরায়, একটি দুর্ভেদ্য আড়াল’। (সূরা: ফুরকান, আয়াত: ৫৩)

এ সংক্রান্ত আরো কয়েকটি আয়াত

مَرَجَ الْبَحْرَيْنِ يَلْتَقِيَانِ بَيْنَهُمَا بَرْزَخٌ لَا يَبْغِيَانِ فَبِأَيِّ آلَاءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

অর্থ: ‘তিনি দুই সমুদ্রকে প্রবাহিত করেন, যারা পরস্পর মিলিত হয়। উভয়ের মাঝখানে রয়েছে এক আড়াল, যা তারা অতিক্রম করতে পারে না। অতএব (হে মানব ও জ্বীন) তোমরা উভয়ে তোমাদের রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে’? (সূরা: আর রাহমান, আয়াত: ১৯-২১)

أَمَّنْ جَعَلَ الْأَرْضَ قَرَارًا وَجَعَلَ خِلَالَهَا أَنْهَارًا وَجَعَلَ لَهَا رَوَاسِيَ وَجَعَلَ بَيْنَ الْبَحْرَيْنِ حَاجِزًا ۗ أَإِلَٰهٌ مَعَ اللَّهِ ۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ

অর্থ: ‘কে পৃথিবীকে করেছে অবাসযোগ্য এবং তার মধ্যে প্রবাহিত করেছে নদী-নালা? আর তাতে স্থাপন করেছে সুদৃঢ় পর্বতমালা এবং দুই সাগরের মাঝখানে সৃষ্টি করেছে অন্তরায়? আল্লাহর সঙ্গে কি অন্য কোনো ইলাহ আছে? বরং তাদের অধিকাংশই জানে না’। (সূরা: নামল, আয়াত: ৬১)

পৃথিবীর বেশ কয়েকটি স্থানে পাশাপাশি প্রবাহিত সমুদ্র বা নদীর পানির মধ্যে স্পষ্ট ব্যবধান খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা যায়, পাশাপাশি প্রবাহিত হলেও দুই সমুদ্রের পানির রঙ ও গঠন আলাদা এবং তারা একটি অন্যটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে না। অর্থাৎ, কোনো একটা অদৃশ্য দেয়াল যেন কাজ করছে।

কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই ব্যবধান? এই ব্যবধানের অন্যতম কারণ হচ্ছে নদীর পানির ক্ষেত্রে ঘনত্বের ও সমুদ্রের পানির ক্ষেত্রে লবণাক্তটার পার্থক্য। যাকে ইংরেজিতে বলা হয় হ্যালোক্লাইন (Halocline)।

সূএ : ডেইলি-বাংলাদেশ

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



  
উপদেষ্টা -মাকসুদা লিসা
 সম্পাদক ও প্রকাশক :মো সেলিম আহম্মেদ,
ভারপ্রাপ্ত,সম্পাদক : মোঃ আতাহার হোসেন সুজন,
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদকঃ মো: শফিকুল ইসলাম আরজু,
নির্বাহী সম্পাদকঃ আনিসুল হক বাবু

 

 

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন:ই-মেইল : [email protected]

মোবাইল :০১৫৩৫১৩০৩৫০

Design & Developed BY ThemesBazar.Com